শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৯:৫৪ অপরাহ্ন

আদালতে মাদরাসা শিক্ষকের রোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা

বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মাদরাসা শিক্ষার্থী ফাহিম।

বিডি নিউজ আই : নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে ১৩ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মাদরাসা শিক্ষার্থী ফাহিম নিজেকে আয়রনের ছ্যাকা ও মাটিতে আছড়ে দিয়ে মাথা থেতলে দেওয়ার নির্যাতনের কথা জানিয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (৪ জুলাই) বিকালে নারায়নগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত তার জবানবন্দি রের্কড করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়নগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো.আসাদুজ্জামান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী দক্ষিণপাড়া এলাকার সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে নির্যাতনকারী মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সকালে ওই শিক্ষার্থীর নানা শহিদুল্লাহ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত নির্যাতনকারীরা হলেন, নরসিংদী জেলার মধাবদী থানার ময়শাদি এলাকার আবু বক্করের ছেলে শাহ-পরান ও শাহজালাল। তারা সম্পর্কে আপন দুই ভাই।শাহজালাল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শাহপরান মাদরাসার শিক্ষক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার সকালে মাদরাসা শিক্ষক শাহ-পরান মাদরাসা শিক্ষার্থী বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ফাহিমকে কাপড় ইস্ত্রি করার আয়রন দিয়ে পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা পুড়ে ফেলেন। এসময় ওই শিক্ষক শাহপরান পা উপরের দিকে দিয়ে মাটিতে (ফ্লোরে) ফাহিমকে আছড়ে দিয়ে মাথা থেতলে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেত্রাঘাত করে গুরুতর জখম করে।পরে নির্যাতনের বিষয়টি মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ শাহ জালালকে জানালে শাহপরান তার ভাই হওয়ায় তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চান। এ উদ্দেশ্যে চিকিৎসার জন্য প্রতিবন্ধি ফাহিমকে মাদরাসা থেকে বের হতে না দিয়ে তিনি নিজেই ঔষধ এনে দেন। নির্যাতনের বিষয়টি বাইরে না জানানোর জন্য শাহ-পরান ও শাহজালাল দুই ভাই মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখান। গত বুধবার ভোরে ফাহিম মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে ভর্তি করান।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


© All rights reserved © 2020 bdnewseye.com
Developed BY M HOST BD