আড়াইহাজার সংবাদদাতাঃ নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারে স্থানীয় দেবৈ এলাকায় একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে মোনাজাতরত মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল (৩০) সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (২০ জুন) সকালে সাতগ্রাম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ছাত্তার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেন। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার উপ -পরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত ফয়সালের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী রাজিবুল ইসলাম জুয়েল বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আড়াইহাজার থানার ওসি (ইন্সপেক্টর) তদন্ত আনিসুর রহমান মোল্লা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহ রয়েছে।
ইউপি সদস্য ছাত্তার বলেন, (১৮ জুন) শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়া শেষে মুসল্লিরা মোনাজাতরত অবস্থায় ছিলেন। এসময় সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সালসহ ১৫-২০জন মিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদের বাইরে অবস্থান নেয়।
তিনি জানান, তিন মাস আগে দেবৈ পূর্বপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি করা হয়। এ কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সালের বাবা আবু জর মোল্লা। এই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক দুলাল নামে এক ব্যক্তি। পরে তাকে বাদ দিয়ে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে তাকেও বাদ দিয়ে কামাল নামে এক জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এনিয়ে ছাত্তার মেম্বারের কাছে বিচার দায়ের করা হয়। ১১ জুন জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে তিনি সালিশ বসেন। কিন্ত বিষয়টি মীমাংশা হয়নি। এরই জেরে ১৮ জুন মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে মোনাজাতরত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ইমামসহ বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। তার ছেলে পারভেজের বাম হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, দেবৈই পূর্বপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটিতে তার বাবা আবু জর মোল্লা আলী সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। একই কমিটিতে দুলাল নামে এক ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটির উপদেষ্টা ২নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দস ছাত্তার তাতে ক্ষিপ্ত হন। এনিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জেরে তাদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...