কুমুদিনী বাগানের জুট প্রেসের শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গেলে শ্রমিক নেতা ও আইনজীবী অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইলের দিকে তেড়ে আসেন সাংসদ সেলিম ওসমান। শ্রমিক নেতা ইসমাইলকে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ধমকও দেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এই সাংসদ।
মঙ্গলবার (৮ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কক্ষের সামনে বারান্দায় এই ঘটনা ঘটে। এর আগে শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য পাওনা কিংবা পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনরত কুমুদিনী শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসকের কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ’র উপস্থিতিতে তার কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও ব্যবসায়ী নেতা শাহাদাত হোসেন সাজনু, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু। শ্রমিকদের পক্ষে তাদের আইনজীবী ও শ্রমিক নেতা অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, কুমুদিনীর শ্রমিক ও শহরের খানপুরের উত্তর কুমুদিনা বাগানের বাসিন্দা মো. জুয়েল, মো. নাসির প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন বিকেএমইএ’র সভাপতি ও সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান। এ সময় সাংবাদিকদের সামনে কথা বলার জন্য শ্রমিক নেতা ও আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ইসমাইলকে ডাকেন সাংসদ। তখন সাংবাদিকদের সামনে কিছুই বলেননি ইসমাইল। সাংসদের কথা বলা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাদা করে কথা বলেন মাহবুবুর রহমান ইসমাইল। তিনি অভিযোগ করেন, শ্রমিকদের পক্ষে একটি কথাও বলেননি সাংসদ সেলিম ওসমান। এমনকি বৈঠকে শ্রমিকদের আইনজীবী হিসেবে তাকেও তাদের দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়নি। মাহবুবুর রহমান ইসমাইলের এমন বক্তব্য অদূরে থাকা সাংসদ সেলিম ওসমান শুনছিলেন। অ্যাড. ইসমাইলের কথা শুনে তার দিকে তেড়ে আসেন সেলিম ওসমান। এক পর্যায়ে উচ্চবাচ্যও করেন সেলিম ওসমান।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, ‘শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলায় এমপি সাহেব তেড়ে আসেন। বৈঠকের নামে মালিকদের পক্ষে একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলতে গেলেই ক্ষেপে যান তিনি।’
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...