নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবাসহ পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও তার সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব-১০ এর একটি দল। আটক পুলিশ কর্মকর্তা ডিএমপির ডেমরা থানায় কর্মরত। শনিবার (২৯ মে) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের বাঘমাড়া কলেজ রোড এলাকা থেকে ইয়াবাসহ তাদেরকে আটক করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা থানার এএসআই শাহ মো. ইমাম উদ্দিন (৩২) ও তার সহযোগী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বাঘমারা এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে মো. নাছির উদ্দিন (৩৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা, ১টি মোটরসাইকেল, ৩টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৭২০ টাকা জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার র্যাব-১০ এর পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন শেখ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটক দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে মামলা করেছে। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের বাঘমাড়া কলেজ রোড এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে নাছির কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে র্যাব। তার দেহ তল্লাশি করে ১৯০ পিস ইয়াবা ও একটি মোবাইল ফোনসহ তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, ইমামউদ্দিন ইয়াবাগুলো বিক্রি করার জন্য তাকে দিয়েছে। পরে ফোন দিয়ে নাছির ইমামউদ্দিনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। সে জানায় তিনি ডেমরা থানার এএসআই। পরে ২টি মোবাইল ফোন, ১টি মোটরসাইকেল ও নগদ ৭২০ টাকাসহ তাকে আটক করে র্যাব।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের বরাতে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৪ মাস যাবত ইমাম উদ্দিনের ইয়াবা বিক্রির কাজে নিয়োজিত। প্রতি ১০০ পিছ ইয়াবা ১২ হাজার টাকার উপর যত বেশি বিক্রি করবে সেটা তার। এ পর্যন্ত ২০-২৫ বার ইমাম উদ্দিনের দেয়া ইয়াবা নাছির বিক্রি করেছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...