• সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
রয়্যাল টোব্যাকো ফ্যাক্টরিতে অভিযানে কারাদণ্ডসহ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ৫০ উর্ধ্বে কফি হাউজ শেষবেলা সংগঠনের আলোচনা সভা বন্দর মুছাপুরে এস এস সি পরিক্ষার্থী সিমি ও শিশু সোয়াইফকে মারধর, ভাঙ্গচুর ও লুটপাট শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ আয়োজিত “শ্রমিক শ্রেণীর জীবন মান উন্নয়ন ও মজুরী শীর্ষক” সেমিনার অনুষ্ঠিত ইপসা-র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোঃ আরিফুর রহমান এর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন নানা আয়োজনে উদযাপিত নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমান আদালত চলমান থাকবে -ডিসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেইক আইডিতে অপপ্রচারের অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য ৪ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ উদ্বোধন না.গঞ্জে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত

‘গণতন্ত্র’ বলে অন্তত আমরা চিল্লাচিল্লি বন্ধ করি

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ৬৫৭ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : Bangladesh is by no means a democratic country. বাংলাদেশ কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক দেশ নয়। আজ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থেকে যেভাবে গণতন্ত্রের বুকে গুলি করে হত্যা করছে, বিগত সময়ে ভিন্ন দল ক্ষমতায় থেকে একইভাবে গণতন্ত্রের বুক ঝাজড়া করেছে। আমি একা বলছি না, গোটা বিশ্ব তাই বলছে। গণতান্ত্রিক দেশের তালিকায় নাম নেই বাংলাদেশের। আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বিগত কয়েক বছরের মতো সর্বশেষ চলতি বছর (২০২২ সালে) ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গণতন্ত্রের সূচকে স্বৈরতান্ত্রিক ও ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক অবস্থার মাঝামাঝি তথা হাইব্রিড রেজিম (মিশ্র শাসনব্যবস্থা) দেশের তালিকায় পূনরায় স্থান পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে বলা হয়েছিল- বাংলাদেশে নানা ধরনের অনিয়মের কারণে নির্বাচন স্বাধীন ও স্বচ্ছ হতে পারছে না, দুর্নীতির বিস্তার বাড়ছে এবং আইনের শাসন এখানে একেবারেই দুর্বল। এখানে নিয়মিত নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক দমন-পীড়নও চলে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। বিরোধী দল এবং বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের চাপ নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার এবং দুর্বল আইনের শাসন। নাগরিক সমাজ দুর্বল। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয় এবং সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপ দেওয়া হয়।

বাস্তবে যে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই, সে দেশকে শুধুমাত্র চাপার জোড়ে গণতান্ত্রিক দেশ বলে প্রচার করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আমি কারও পক্ষ নিচ্ছি না। কারণ, এটা বাস্তব যে- ইতিপূর্বে ঘুরেফিরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, প্রত্যেকেই একইভাবে ‘গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে’ (suffocates democracy) তবেই রাজনীতিতে টিকে থেকেছে। মাঝখানে বলির পাঠা হয়েছে এ দেশের বোকাসোকা সাধারন মানুষ। এখনও তার ব্যতিক্রম কিছু ঘটছে না। এ দেশে যে যখন ক্ষমতায় থাকে, সে-ই তখন রাজার ভূমিকায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সুতরাং নির্যাতনকারী সরকার বা নির্যাতিত বিপক্ষ দল কারও প্রতিই আমার কোনো attraction নেই। আমাদের মতো সাধারন নাগরিকের এসবের প্রতি attraction থাকাও উচিত নয়। কেননা এ দেশে কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের সাধারন নাগরিকের জন্য রাজনীতি করে না। তারা রাজনীতি করে নিজেরা ক্ষমতার আসনে বসে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। তাই আসুন, গণতন্ত্র গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে অন্তত আমরা সাধারন নাগরিকরা চিল্লাচিল্লি বন্ধ করি। আর যদি বুকে সাহস থাকে, তবে আমাদের সাধারন নাগরিকদের মধ্যথেকেই নতুন কেউ বেড়িয়ে আসুক দেশের হাল ধরতে। কেননা নোংরা রাজনীতির দেশে আর রাজনীতিকদের দেখতে ইচ্ছে করে না ক্ষমতার আসনে।

লেখক : সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..