নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রামনের কারনে আগামী ২৮ জুন থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছে সরকার। গতকাল ২৫ জুন রাতে সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে। সরকারি বেসরকারি অফিস, সকল রকমের পরিবহন বন্ধসহ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার কথাও বলা হয়েছে তথ্য ওই বিবরণীতে।
লকডাউনে নিত্যপণ্যের দোকান বা বাজার খোলা থাকলেও, চলাচলে থাকবে যথেষ্ট বিধি নিষেধ। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কে ভুগছেন ভোক্তা। তারা সামর্থ্য অনুযায়ী খাদ্যপণ্য কিনে বাসা-বাড়িতে মজুদ করে রাখা শুরু করে দিয়েছেন।
শনিবার (২৬ জুন) নগরীর দিগু বাবুর বাজার, কালির বাজার এলাকায় সারেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো মুদি, কাঁচাবাজার ও সুপারশপ গুলোয় হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলেন ক্রেতারা। লকডাউনের কারনে প্রয়োজন থেকে একটু বেশিই পন্য ক্রয় করতে দেখা গেছে তাদের।
দিগু বাবুর বাজারের এক মুদি দোকানি জানান, ‘সোমবার থেকা সরকার লকডাউন ঘোষনা করছে, কিন্তু বাজার খোলা থাকবো নি তা এহনো আমাদের জানায় নাই। তাই মানুষ যতটা পারতাছে চাল-ডাল কিন্না রাখতাছে।’
দিগু বাবুর বাজারের এক সবজি বিক্রেতা হাসান মিয়া জানান, ‘সকাল থেকা ভালো বেচা-কেনা হইসে, অনেক মানুষ আসকে বাজার করতে আইসে।’ শাক-সবজির দামের কথা জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, ‘দাম তেমন বাড়ে নাই, কয়েকটা সবজি বাজার কম থাকার কারনে ওই গুলো একটু বাড়ছে।’
দিগু বাবুর বাজারের এক মাছ বিক্রেতা মো. সবুজ জানান, ‘লকডাউনের কথা শুনার পর আজকে বাজারে স্বাভাবিক সময় থেকা অনেক বেশি মানুষ আসছে, তারা কিনতাছেও বেশি বেশি। আমরা গত কয়েকদিন ধইরা যে দামে মাছ বিক্রি করতাছিলাম আজকেও সেই দামেই করতেছি।’
দিগু বাবুর বাজারে গরু ও খাশির মাংশ বিক্রেতারা জানান, ‘অন্যান্য দিনের তুলোনায় আজকে ক্রেতাদের চাপ একটু বেশি। দামের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, ইদের পর থেকে গরুর মাংশ ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি এখনো দাম একই। এবং খাশির মাংশের দাম ও রয়েছে অপরিবর্তিত।’
দিগু বাবুর বাজারে আসা এক ক্রেতা জানান, ‘লকডাউনের জন্য না, কিন্তু অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ একটু বেশিই বাজার করেছি।’
দিগু বাবুর বাজারে আসা অপর এক ক্রেতা জানান, ‘সোমবার থেকে লকডাউন তাই কিছু বাজার করতে এখানে এসছি। বাজারে পণ্যের দামের বিষয়ে তিনি জানান, বাজারে চাল-ডাল, মাছ-মাংশ ও বেশির ভাগ শাক-সবজির দাম প্রায় একই। শুধু আলু-পেয়াজে ২/৪ টাকার দাম বেড়েছে।’
এ দিকে, বাজারে ক্রেতার সংখা বেশি হওয়ায় সবার চাদিা অনুযায়ি পন্য পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। বিক্রেতাদের দাবী, বাজারে মানুষের সংখাও বেশি, পাশাপাশি তার পন্য কিনছেনও বেশি তাই সবাই যে পরিমানে নিতে চাচ্ছে তা পাচ্ছে না।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...