বাগেরহাটে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তিন উপজেলায় করোনা সংক্রমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমন। বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষায় বাগেরহাট সদর উপজেলায় শতকরা করোনা শনাক্তের হার ৬৬.৫০ ভাগ, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় শতকরা শনাক্তের হার ৫৫.৫৫ ভাগ ও শরণখোলা উপজেলায় শতকরা শনাক্তের হার ৫০ ভাগ। মোংলায় ৮ দিনের চলমান কঠোর বিধি নিষেধের পঞ্চম দিন বৃহস্পতিবারও ১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোংলায় ৪ দিনের নমুনা পরীক্ষায় ৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাগেরহাট জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে করোনা সংক্রমন রোধে বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মরত গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। জেলায় করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার বিষয়টি উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন গনমাধ্যমকর্মীরা। বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিভাগের চলমান কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বাগেরহাটে ২১ জুনের ইউপি নির্বাচন ও মোংলা ইপিজেড বন্ধ করে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা, বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা এই চারটি উপজেলায় প্রাথমিকভাবে সর্বাত্বক লকডাউনের পরামর্শ দেন গনমাধ্যমকর্মীরা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কার্য্যলয়ে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খোন্দকার মোহম্মদ রিজাউল করীম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাব্বেরুল ইসলাম, মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত দাস, বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আহসানুল করিম, বাবুল সরদার, আহাদ উদ্দীন হায়দারসহ গনমাধ্যমকর্মীরা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সচেতনতা সৃষ্ঠির পাশাপাশি জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে । প্রয়োজনে আমরা আইনও প্রয়োগ করছি। করোনা সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসন প্রতিটি উপজেলায় জন সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাইকিং, লিফলেট, মাস্ক বিতরণসহ মসজিদে মসজিদে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার করোনা প্রতিরেধে সমন্বয় সভা করে প্রয়োজনে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...