• মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :

বাদল সন্ত্রাসীদের গডফাদার: অধ্যাপক মাহবুবুর

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ৩৪২ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১
এম সাইফউল্লাহ বাদল ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান

বিডি নিউজ আই: কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলকে সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেছেন, কাশিপুরে আওয়ামীলীগ একজন নুলা (প্রতিবন্ধী) ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান পদে নমিনেশন দিয়েছে এতেই প্রমাণিত হয় যে সেখানে আওয়ামীলীগের কি দৈন্যদশা। এই ব্যক্তিকে নাকি ৩-৪ জনে ধরে উঠানো লাগে। দেশে সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে এই ধরনের অথর্ব প্রার্থী দেখা যায়নি। মূলত বাদল সন্ত্রাসীদের গডফাদার এই জন্য সে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নমিনেশন এনেছে।

চেয়ারম্যান বাদলের পুত্র সাজন হামলার শুরুতেই আমাদের প্রার্থী ওমর ফারুককে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছে। আমি বলতে চাই আমার (অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান) বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। ইসলামী আন্দোলনে কোন রাজাকার স্বাধীনতা বিরোধীদের স্থান নেই। সাইফউল্লাহ বাদল আমাদের প্রার্থীকে হুমকী দিয়েছেন কাশিপুরে কোন প্রচারণা না চালাতে। আমার প্রশ্ন কাশিপুর কি সাইফউল্লাহ বাদলের বাবার জায়গা। কাশিপুর কি তার (সাইফউল্লাহ বাদলের) পৈত্রিক সম্পত্তি। যদি সেটাই হয়ে থাকে তাহলে কেন জনগণের ম্যান্ডেট নিতে এসেছেন। কেন তাকে নির্বাচন ছাড়াই চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হলোনা। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের এমপি শামীম ওসমান মূলত এম সাইফউল্লাহ বাদলকে বড় ভাই বলে সম্বোধন করেন। আমি শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলছি আপনার বড় ভাইয়ের লোকজন কি করেছে আপনি দেখুন। আমরা এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচারে আপনার সহযোগিতা চাই। যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়ে আপনার টেলিফোন রেসপন্স করবোনা। তিনি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বাদল পুত্র সাজন ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করা না হলে নারায়ণগঞ্জে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

রোববার ৩১ অক্টোবর সকালে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফতুল্লা থানা ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

ফতুল্লা থানা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন জিহাদী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে হাতপাখা প্রতীকের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী দীনি সংগঠন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাসুম বিল্লাহ, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নূর হোসেন, সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ, জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মো. শফিকুল ইসলাম, জেলা ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল্লাহ মো. হাসান প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আজকে ভারাক্রান্ত মনে নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে গণতন্ত্র রক্ষার্থে দলমত নির্বিশেষে সবাই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এই লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনে। কিন্তু আজকে কোথায় সে গণতন্ত্র? যখন নির্বাচন আসে তখন ক্ষমতাসীন দলের কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা আমাদের বাধা দিতে থাকে এবং আমাদের প্রার্থীদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। আজকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই, আপনারা প্রশাসানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ জুলুমকে আল্লাহ পছন্দ করে না। জুলুম করে ফেরাউন-নমরুদরাও টিকতে পারে নাই। সে প্রেক্ষিতে আপনারাও টিকতে পারবেন না। ইসালমী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা শান্তি প্রিয়। যদি আজকে উশৃঙ্খল হতো তাহলে কালকে রাতেই আমরা কিছু করতাম। আমরা আমাদের মুরুব্বীদের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। যদি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা আসে তাহলে সে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা নারায়ণগঞ্জে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। যদি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয়, প্রশাসন যদি এ বিষয়টাকে নিয়ে যদি খেলেন তাহলে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী এর জবাব দেয়া হবে। এসবে কিন্তু আমরা দমে যাবো না। একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া আমরা আর কাউকে ভয় পাই না। আমরা মাঠে আছি এবং মাঠে থাকবো।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..