• শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
“আইন প্রণয়নের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রকল্প”শীর্ষক কর্মশালা আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের প্রতিভা ও কর্মে উদ্ভাসিতঃ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা নারায়ণগঞ্জে দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি পরিবারের মাঝে চেক প্রদান অবৈধ মালামাল বিক্রির দায়ে জরিমানা নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জনকে স্বারকলিপি রাষ্ট্রের সম্পদ ও অর্থ যেন অপচয় বা অপব্যবহার না হয়ঃ ডিসি জাহিদুল ইসলাম রয়্যাল টোব্যাকো ফ্যাক্টরিতে অভিযানে কারাদণ্ডসহ ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ৫০ উর্ধ্বে কফি হাউজ শেষবেলা সংগঠনের আলোচনা সভা বন্দর মুছাপুরে এস এস সি পরিক্ষার্থী সিমি ও শিশু সোয়াইফকে মারধর, ভাঙ্গচুর ও লুটপাট শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ আয়োজিত “শ্রমিক শ্রেণীর জীবন মান উন্নয়ন ও মজুরী শীর্ষক” সেমিনার অনুষ্ঠিত

ভাঙ্গা ঘরে স্বপ্ন বুনে অন্ধ নুরনবী

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ৫৯৯ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

রমেশ সরকার, শেরপুর সংবাদদাতা: ভাঙ্গা ঘরে শুয়ে অন্ধ জীবনের স্বপ্ন বুনে জন্মান্ধ নুরনবী। একটুখানি বৃষ্টি হলেই পানিতে ঘরের সবকিছুই ভিজে একাকার হয়ে যায়। তখন আর কষ্টের সীমা থাকে না দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরনবীর। তিনি মনে করেন ভাঙ্গা ঘর হয়তো একদিন থাকবে না। ঘর হবে যে কোনো উপায়ে। কিন্তু দুঃখের দিনগুলো স্মৃতি হয়ে থাকবে হৃদয় পটে চিরদিন।

জন্মান্ধ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নুরনবীর জন্ম শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি চৌদ্দখানা গ্রামে। পিতা লুৎফর মিয়া, মাতা রাহেলা খাতুনের ৫ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে নুরনবী সর্ব কনিষ্ঠ। জন্মের পর থেকেই সে দৃষ্টিহীন। তাই এই সুন্দর পৃথিবী দেখার সুভাগ্য তার হয় নাই। সুভাগ্য হয় নাই জন্মদাতা পিতা-মাতা ও ভাইবোনদের এক নজর দেখার। তাই অনেক সময় মা-বাবা ও আপন ভাই বোনদের মুখে হাত বুলিয়ে বলে আমার এ অন্ধ জীবনে আপনজনদের মুখ দেখার সুভাগ্য হলো না।
নুরনবীর বাবা-মা নয় বছর বয়সে ঢাকার ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে নুরনবীর চোখের অপারেশন করিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই।

নুরনবী শুধু অন্ধই নয় একটি প্রতিভাও বটে। চোখে দেখতে না পেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে গান শুনে আয়ত্ত্ব করে ফেলেন গানের সুর, তাল ও লয়। তার সুরেলা কন্ঠের গান মানুষকে মুগ্ধ করে। শুধু তাই নয়, সে নিজেই অনেক গানের গীতিকার ও সুরকার। তার রচিত গান শুনে মুগ্ধ হয় অনেক মানুষ। তার নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বা একাডেমিক শিক্ষা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলে সে আরো অনেক ভালো করতে পারতো। যদি কোনো স্ব-হৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে আসে তাহলে তার প্রতিভা গোটা জাতির সামনে উন্মুচন হতো। মুল্যায়ন হবে তার প্রতিভার।

জন্মান্ধ নুরনবী এক গরীব ঘরের সন্তান। গান গেয়ে ও গ্রামের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের মাইকিং করে যে আয় হয় তা দিয়েই অতি কষ্টে তার সংসার চলে। মাথা গুজার ঠাঁই বলতে ভাঙ্গা একটা দু-চালা টিনের ঘর। বর্ষা ও ঝড় বাদলের দিনে ঘরের ভাঙ্গা চাল দিয়ে বৃষ্টির পানিতে ঘরের ভিতর একাকার হয়ে যায়। তখন তার আর কষ্টের সীমা থাকে না। নুরনবী যে এতো কষ্ট করে ভাঙ্গা ঘরে বাস করে তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।

প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর উপহার দিয়েছেন। কিন্তু অন্ধ গৃহহীন নুরনবী’র ভাগ্যে জুটে নাই প্রধানমন্ত্রীর সেই কাঙ্খিত ঘর উপহার। প্রশাসন যদি তার দিকে একটু সু-দৃষ্টি দেয় তাহলে তার ভাগ্যে জুটতে পারে একটি ঘর। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি আমার একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে আমার অনেক উপকার হবে ও ঘরের স্বপ্ন পুরন হবে। ঝড় ও মেঘ বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবো।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..