• মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :

যুবক হত্যায় চেয়ারম্যানসহ আসামী ২১

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ২৩৩ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২ জুন, ২০২১
নিহত যুবলীগ কর্মী সোলাইমান।

যুবলীগ কর্মী সোলাইমান হত্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ঘটনার পর থেকেই ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন বহু অপকর্মের হোতো মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ। তবে, শেষতক খুনের শিকার সোলাইমানের ছোট ভাই আলমাছ চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
বুধবার (২ জুন) সকালের দিকে নিহত যুবলীগ কর্মী সোলাইমানের ছোট ভাই রাজীব মিয়া ওই মামলা করেন। মঙ্গলবার দিন দুপরে প্রকাশ্যে সোলাইমানের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে এবং কুপিয়ে হত্যা করে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, চেয়ারম্যান আলমাছের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে তারই নির্দেশে সোলাইমানকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে মামলা দায়েরের পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্র জানিয়েছে, মামলার প্রধান আসামী চেয়ারম্যান আলমাছের বিরুদ্ধে সোলাইমান হত্যা ছাড়াও আরও অর্ধডজন হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে স্থানীয় এক শিল্পপতি হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী ছিলেন। পরে উচ্চ আদালত থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।
জানা যায়, নিহত সোলেইমান উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের নাসিংগল এলাকায় তার মাছের খামারে কাজ করার সময় আলমাছের লোকজন তাকে ব্যবসায়ীক চুক্তি করার জন্য গন্ধর্বপুর নামাপাড়া এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে শত শত লোকের সামনে তারা সোলাইমানকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় আসামী গর্ন্ধবপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহবাজ, একই এলাকার জয়নালের ছেলে ফজলুল হক ও মাছিমপুর এলাকার ছানু মিয়ার ছেলে আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে।
রূপগঞ্জ থানা সূত্র থেকে জানা গেছে, সোলাইমান হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের নামে সোলাইমান হত্যা ছাড়াও একই ইউনিয়নের বানিয়াদি এলাকার শমসের হত্যা, মীরকুঠিরছেও এলাকার নয়ন হত্যা, ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম বাবু ও তার পিতা জালাল হত্যা, যুবলীগ নেতা শওকত ও ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ রুবেল হত্যাকান্ডের মামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে রয়েছে চেয়ারম্যান আলমাছের নাম। এছাড়া উপজেলা বিএনপি নেতা রাসেল ভূইয়া হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন এই আলমাছ। পরে উচ্চ আদালতে তাকে দন্ডাদেশ মওকুফ করে খালাস দেয়া হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ এঘটনায় জড়িত এজাহারভুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..