• মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
জুলাই শহিদদের প্রকৃত সম্মান হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান না.গঞ্জ বন্দরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের অবস্থান কর্মসূচি পালিত সংস্কার চাই আমরাও, কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করে নয়ঃ সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন গলাচিপায় দুইদিনব্যাপী শোহদায়ে কারবালা মাহফিল অনুষ্ঠিত নাঃগঞ্জ বন্দর রেলগেইটে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর ২য় শাখা অফিস উদ্বোধন  যুগের পর যুগ রিয়া ও সুমাইয়ার নাম থাকবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ না.গঞ্জ সদরে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ না.গঞ্জ সদরের রাজাপুর ঘাট ইজারা পুনঃ দরপত্র এইচএসসি,আলিম ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা রোমেন

আমাদের পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি : তারেক রহমান

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ১০৮০ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বিডি নিউজ আই: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানচিত্রে ঠিকানা যেখানেই হোক, সকল ক্ষেত্রে আমাদের পরিচয় একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশি।
দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সমাবেশে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মিডিয়া সেল আজ রাতে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস’কে এ খবর জানিয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা কেউ মসজিদে যাই, কেউ মন্দিরে বা প্যাগোডায় কিংবা গীর্জায় যাই; তেমনি কারো উৎসব ঈদুল ফিতর, কারো বা দূর্গাপূজা কিংবা বড়দিন অথবা বৈশাখী পূর্ণিমা; সেটাও আমার আপনার সবার অভিন্ন পরিচয় নয়। বাংলাদেশের মানচিত্রে আপনার ঠিকানা হতে পারে পাহাড়ে, কারো আবার সমতলে, কেউবা থাকেন হাওড়ে আবার কেউ ছোট্ট দ্বীপে, নয়তো উপকূলের প্লাবন ভূমিতে কিম্বা সুন্দরবনের পাশে- সকল ক্ষেত্রে পরিচয় আমাদের একটাই, আমরা সবাই বাংলাদেশী। এমনকি যারা এই পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেষ্টা করেন তারাও জনরোষ এড়িয়ে পালানোর সময় যে পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন সেখানেও তাকে এই ‘বাংলাদেশী’ পরিচয়টিই ব্যবহার করতে হয়েছে।’
তারেক রহমান বলেন, এই পরিচয় আমার আপনার যোগ্যতার মূল্যায়নের সময় যেমন নিরপেক্ষভাবে ব্যবহার করতে হবে, ঠিক তেমনি আমাদের অপরাধের ক্ষেত্রেও থাকবে একই মাপকাঠি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও বেগম সেলিমা রহমান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংখ্যালঘুর কার্ড দিয়ে অনেক খেলা হয়েছে। সেটা দেশেও যেমন হয়েছে, দেশের বাইরেও কম হয়নি। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আর দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে যুগ যুগ ধরে এই সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরুর স্পর্শকাতর বিষয় আর নির্যাতনের কল্পকাহিনী ফেঁদে রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার অপচেষ্টা দেশে-বিদেশে বার বার কারা করেছে সেটাও আমরা সবাই জানি।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের এই পুরনো খেলার পুনরাবৃত্তি এদেশে আর করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা এগুলোকে হয় কবর দিয়ে নিশ্চিহ্ন করি, নয়তো চিতায় পুড়িয়ে ভষ্ম করে দিই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘এদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে এক ধর্মের উপাসনালয় আরেক ধর্ম অনুসারীরা ঐতিহ্যগতভাবে সুরক্ষিত রেখেছে যুগ যুগ ধরে, বার বার প্রমাণ করেছে এদেশে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই, আমাদের সবারই এক ও অভিন্ন পরিচয়, আমরা সবাই বাংলাদেশী। শুধু কথায় নয় কাজেও এটার প্রমাণ দিতে হবে যখনই প্রয়োজন হবে।’
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ আর শত সহ¯্র নেতা-কর্মীর আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি জনগণের আস্থা আর বিশ্বাসের যে জায়গায় পৌঁছেছে, কতিপয় বিপথগামীর হঠকারিতায় সেটা বিনষ্ট হতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে দল আপোষহীন, তিনি দলের কত শীর্ষে অবস্থান করেন সেটা বিবেচ্য নয়। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে দল সেটার প্রমাণ রেখেছে বলেও তিনি জানান।
মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস আর অনুশাসনকে পুঁজি করে যারা ধর্মীয় স্থাপনায় রাজনীতি করবে, বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা ধর্ম-বর্ণের বিভক্তিকে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে, নিজ নিজ এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে তাদের প্রতিহত করতে তারেক রহমান পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে দেশের সাংবিধানিক কাঠামো আর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছে যেটা সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য এখনো উন্মুক্ত। তবে তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, যারা যে সংস্কারের প্রস্তাবনাই আনুন আমাদের সংষ্কার প্রস্তাবে সেগুলোর সবই অন্তর্ভুক্ত আছে।
তিনি বলেন, বিজয় এখনো অনেক দূরে, সফলতার পথ অনেক দীর্ঘ, আমরা গত সতের বছর বিরোধী দলে ছিলাম, আজো আছি। এখন আত্মতুষ্টির সময় নয়, বরাবরের মত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর মত অতীতে যেমন সঙ্কটকালে দলের পাশে ছিলেন আগামীতেও বাংলাদেশের জনমানুষের প্রত্যাশার ভাষা বুঝে তাদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করলে বিএনপি দেশের মানুষকে একটা নতুন আর পরিবর্তিত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।(বাসস)

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..