বিডি নিউজ আই, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের জেলায় জেলায়, থানায় থানায় তৃণমূল পর্যায়ে সভা-সমাবেশ, পদযাত্রা, পথসভা ও গণসমাবেশের কর্মসূচি চলছে। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানায় মদনপুর থেকে এক পদযাত্রা শুরু হয়ে পথে পথে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পদযাত্রা ও সমাবেশগুলোতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির বন্দর থানা কমিটির সভাপতি কমরেড মোঃ লিটন মিয়া। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট মন্টু ঘোষ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, কমরেড দুলাল সাহা, কমরেড বিমল কান্তি দাস, কমরেড আঃ হাই শরীফ, কমরেড আব্দুস সালাম বাবুল, কমরেড ইকবাল হোসেন, কমরেড এম, এ, শাহীন ও প্যারাডাইজ ক্যাবলস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রাসেল মিয়া প্রমূখ।
পদযাত্রা ও সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রুখে দিতে হবে, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎসহ সকল প্রকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমাতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এ দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নায্যমূল্যে নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য ও দেশের সাধারণ মানুষের জন্য রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় জনগণ গ্যাস পাচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আন্দোলনে এগিয়ে আসতে জনগণকে আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কোন সমাধান করা হয়নি।জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। ইছাখালি খালে দুষিত শিল্পবর্জ্য ফেলায় পানি পচে গেছে। অপরিকল্পিত ইটভাটা ও ব্যাটারি কারখানার জন্য এ অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রকৃতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতি ধ্বংস করে এমন শিল্প এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দলীয় সরকার নয় – নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কোন প্রকার প্রতাড়না নয়- একটা ফেয়ার ও সুষ্ঠ নির্বাচন জনগণ দেখতে চায়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের জাতীয় নিন্মতম মজুরি ২০,০০০/- টাকা ঘোষণার যে দাবি শ্রমিক সংগঠনগুলো জানিয়েছে তা অনতিবিলম্বে ঘোষণা করতে হবে। কৃষক ও দেশের কৃষি বাঁচাতে অবিলম্বে সার, বীজ, কীটনাশক ও বিদ্যুতের মূল্য কমাতে হবে। নায্যমূল্যে সার দিতে হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...