বিডি নিউজ আই: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কাশীপুরে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী এম সাইফউল্লাহ বাদলের ক্যাডার বাহিনীর হামলায় আহত হয়েছে এ ইউনিয়নে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী ওমর ফারুক সহ আরো কয়েকজন। হামলাকারীরা হাতপাখার ক্যাম্পে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত করে। ৩০ অক্টোবর রাত ১০টার ওই ঘটনার পরে আশেপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে। রাতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে বিক্ষোভ করে।
জানা গেছে, এবার কাশীপুর ইউনিয়নে হেভিয়েট প্রার্থী ছিলেন মোমেন সিকদার যিনি সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে এমপি শামীম ওসমান এবার নির্বাচন থেকে বসিয়ে দেন। পরে বাদলের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ান ফটো সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম। তিনি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের পর রীতিমত রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় বিনা ভোটের চেয়ারম্যান বাদলের। চাররাত নির্ঘুমের পর আশেপাশের লোকজনের মধ্যস্থতায় নির্বাচন থেকে সরে আসেন রাশেদ। কিন্তু তবুও চিন্তা দূর হয়নি। বাদল চেয়েছিলেন ভোটে কেউ না থাকুক গত নির্বাচনের মত। কিন্তু বাধ সাধেন ইসলামী আন্দোলনের ওমর ফারুক। হুমকি চাপের পরেও তিনি নির্বাচন থেকে সরেনি।
ওমর ফারুক জানান, তিনি রাতে কাশীপুরের উত্তর নরসিংপুর ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। ওই সময়ে সাইফউল্লাহ বাদলের অনুগামী শতাধিক মটরসাইকেলে করে আসা লোকজন অতর্কিত হামলা করে। আমাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে।
এদিকে রাতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ফতুল্লা মডেল থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ সুষ্ঠু বিচারের আশা দিলে লোকজন চলে আসেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...