সৈয়দ শহিদুজ্জামান ॥ ২৬ জুন, বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস। মাদকের ডিলার, পৃষ্টপোষক, সুবিধাভোগী, সহায়ক ভুমিকায় অবতীর্ণ মাদক সেবী’দের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার মতামত প্রকাশ করছি। পুর্বেকা’য় মাদক বলতে ছিল- গাঁজা, আফিম, মদ। যারা উল্লেখিত মাদক বিক্রয় বিতরনে সম্পৃক্ত ছিল এরা সমাজে নিন্দিত অবস্হানে ছিল। সেবনকারী’দের অধিকাংশ’ই ছিল অজ্ঞ নিম্ম শ্রেনীর। যাদের মানুষ অবজ্ঞার চোখে দেখতো এবং অপাংক্তেয়।
কিন্তু ফেনসিডিল যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান মাদকের সিংহাসনে অধিষ্টিত ইয়াবা। এদের অধিকাংশ সম্পৃক্ত’রা আগের মতো অপাংক্তেয় না, নামিদামী’ও বটে। সমীহের সাথে বলে বাবা। তাই জন্মদাতা বাবার অবস্হান এখন ইয়াবা বাবার নীচে। জন্মদাতা বাবা’দের অবস্হান যাদের মাধ্যমে ভুলুন্ঠিত তারা’ও নিশ্চয়ই কারো জন্মদাতা বাবা। তাই আজ সর্বশ্রেনী পেশায় নিয়োজিত মাদকের ডিলার পৃষ্টপোষক সুবিধাভোগী বাবাদের বলবো- তোমাদের সন্তান’দের নিকট কুলাঙ্গার বাবার তকমা থেকে বেঁচে থাকতে সচেষ্ট হও।
ঘুষ, দুর্ণীতি অপরাধের ফলে রাষ্টের অগ্রযাত্রা ব্যহত হয় নিঃসন্দেহে, তাছাড়া ধর্মীয় দৃষ্টিতে’ও যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে বর্তমান মাদক সম্পৃক্ত ব্যক্তি গোষ্ঠী সর্বাধিক নিন্দিত অপরাধী। এরা দেশ’কে মেধাহীন বর্বর অসভ্য জাতি’তে পরিনত করছে। দয়া করে এবার মাদক সম্পৃক্ত’রা আপনাদের বোধদয় জাগ্রত করুন। বিশেষ করে ক্ষমতাধর পৃষ্টপোষকরা। দেশের মানুষের নৈতিকতা, মানবিকবোধ ও দেশপ্রেম’সহ ধর্মীয়বোধ জাগ্রত হলে, আমাদের মাদকাসক্ত ভাই বন্ধু সন্তান’রা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে। তার বাস্তবায়নে যদি আমরা মানবিক না হতে পারি, তাহলে দেশ’সহ এরা অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে এবং যেতে’ই থাকবে অপ্রতিরোধ্য গতি’তে। নিশ্চয়ই তা আমাদের কাংখিত নয়। সকল মাদকসেবি’সহ মাদক সংশ্লিষ্ট মহলে যেন আল্লাহ বোধদয় জাগ্রত করেন।
লেখক: কলামিষ্ট
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...