বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংক্রমন রোধে কঠোর লকডাউনে ফতুল্লায় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এতো কঠোরতার পরও পেটের তাগিদে কঠোর লকডাউনে রিকশা নিয়ে বেড় হয় রিকশাচালক সুমন। রিকশা নিয়ে পোস্ট অফিস মোড়ে আসলে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের অবৈধ মেম্বার রাসেল ও তার সহযোগীরা সুমনকে মারধর করে। শনিবার (৩ জুলাই) ফতুল্লার পোস্ট অফিস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার সুমন জানায়, আমি যদি রিকশা চালিয়ে টাকা রোজগার করতে না পারি তাহলে আমার পরিবারের সদস্যদের না খেয়েই থাকতে হবে। পরিবারের কথা চিন্তা করে আমি রিকশা নিয়ে বের হয়েই ভারপ্রাপ্ত এক মেম্বার রাসেলের মারধরের শিকার হই। রিকশাচালক সুমন বলেন, আমি ফতুল্লা রেলস্টেশন থেকে পোস্ট অফিসের মোড়ে যাই। তারপর রাস্তা বন্ধ দেখে রিকশা ঘুরিয়ে আসতে গেলে তারা আমার মাস্ক টেনে ছিড়ে ফেলে ও ৪/৫টি থাপ্পড় মারে। এ বিষয়ে রিকশার মালিক মোঃ হাসান বলেন, মেম্বারের পুলাপাইনরা মারছে। ওইখানে মেম্বারও ছিলো। রিকশাওয়ালাদের মারধর করেছে। শরীরে হাত দেওয়ার অধিকার নাই। এটা কিন্তু অন্যায়। রাসেল নিজেকে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হিসেবে পরিচয় দিলেন, তিনি ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বার না। তার পিতার মৃত্যুর থেকে নিজেকে মেম্বার দাবি করে আসছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...