রূপগঞ্জ সংবাদদাতা ॥ নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট নয়াপাড়া এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে চলছে বেকারী। ২ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে সরাসরি চুল্লিতে ২৪ ঘন্টা গ্যাস বেরুচ্ছে। । এতে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এভাবে গ্যাস বের হওয়ায় আশপাশের এলাকায় দেখার দিয়েছে গ্যাস সংকট। স্থাণীয় এক যুবলীগ নেতা এই গ্যাস সংযোগ দিয়েছে বলে জানান বেকারী মালিক ইমাম হোসেন। সাওঘাট নয়াপাড়া (কাউয়ার চর)এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে হাসানের বাড়িতে গ্যাসের শো শো শব্দে আতংকিত আশপাশের বসবাসরত মানুষ। অবৈধ গ্যাস সংযোগের ঘটনা এমন সময়ে উদঘাটন হল যখন সেজান জুস ফেক্টুরীতে আগুনে ৫২ জন শ্রমিক মারা যাওয়ার ঘটনায় সাড়াদেশ তোলপাড়।
স্বর জমিনে দেখা যায়, টিনসেট বেকারীতে দুইজন শ্রমিক কাজ করছে। পাশেই অপরিস্কারভাবে পড়ে আছে ময়দার গোলা। এতে মশা মাছি বসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে। ময়দার গোলার উপর বিভিন্ন পোকা মাকড় হাটছে। পোকা মাকড়ের বিষ্ঠা ও দোকান ফেরৎ মালামাল গুড়া কওে গোলার সাথে মিশিয়ে তৈরী হচ্ছে বেকারী পণ্য। নেই কোন পরিবেশের ছাড় পত্র। ইউনিয়ন পরিষদ বলছে এ বেকারীর খবর তারা জানেনা। ছোট্র একটি ঘরের মধ্যে অপরিস্কার ভাবে বেকারী পণ্য তৈরী করায় এলাকার সচেতন মহল বেশ কয়েকবার বাধা দিয়েছে। এত কোন কর্নপাত করেনি বেকারী মালিক। সাওঘাট এলাকার এক নামধারী যুবলীগ নেতা প্রশ্রয়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে কয়েক মাস যাবৎ বেকারী চালাচ্ছে। ইমাম বেকারীতে ২ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে বিকট শব্দে আগুন বেরুচ্ছে। চুল্লিতে কোন কিছু না থাকলেও গ্যাসের আগুন ২৪ ঘন্টা জালিয়ে রেখে চুল্লি হিট রাখতে হয় বলে জানিয়েছেন বেকারীর মালিক ইমাম হোসেন। বেকারীর আশপাশে বহু ঘরবাড়ি ও দোকান রয়েছে। একাধিকবার বাড়ির মালিকরা বেকারী বন্ধের জন্য চাপ দিলেও যুবলীগনেতার ক্ষমতায় কারও কথা কর্নপাত করছেনা বেকারী মালিক ইমাম হোসেন। একটি বাড়ির ভেতরে এই কারখানা হওয়ায় সারাক্ষন আতংকের মাঝে থাকেন আশপাশের বাড়ির মালিকরা। যেকান সময় ভয়াবহ আগুন লেগে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। তাছাড়া বেকারীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ফলে এলাকার আবাসিক লাইনে প্রেসার কমে গেছে। অনেকে গ্যাস স্বল্পতার কারনে মাটির চুলায় রান্না করছে। এলাকাবাসী দ্রুত বেকারীর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের দাবী জানান।
বেকারী মালিক ইমাম হোসেন জানান, গত ৩ মাস আগে আমি এখানে বেকারী ভাড়া নেই। নেতা আমাকে গ্যাস সংযোগ দিয়েছে। এজন্য আমি তাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। আরও ত্রিশ হাজার টাকা দিলে আমাকে গ্যাস বৈধ করে দিবে বলেছে সে।
বাড়ির মালিক হাসানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি বেকারী কারখানা ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু গ্যাস সংযোগের কথা আমার জানা নেই।
গ্যাস সংযোগের ব্যপারে কথিত নেতার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ নুসরাত জাহান বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ কারীরা দেশের শত্রু। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সে যে দলেরই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...