Warning: ftp_fget() expects parameter 1 to be resource, null given in /home/bdnewseye/public_html/wp-admin/includes/class-wp-filesystem-ftpext.php on line 146
হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন – BD News Eye

বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ -এর সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত নাঃগঞ্জে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি সানি’র নেতৃত্বে মিছিল ও প্রতিবাদ সাজাপ্রাপ্ত আসামী ব্লাকমেইলার কামাল ডান্ডাবেরী অবস্থায় জেলহাজতে সরকারকে দায়ী করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে : লিপি ওসমান নারায়ণগঞ্জ সদরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত বাংলাদেশে অগ্নিদানবদের ঠাঁই নেই: শাহজাহান খান নারায়ণগঞ্জে জেলা পর্যায়ে সেইপ’র অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মানব কল্যাণ পরিষদে বিনামূল্যে বিউটিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন না:গঞ্জে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাব নারায়ণগঞ্জ শাখার আয়োজনে শরতের সাহিত্য আড্ডা

হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন

কাউন

সুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন। যা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এক সময় গ্রামেগঞ্জে ব্যাপকভাবে চাষ হলেও বর্তমানে উন্নত জাত ফসলের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন। স্বল্প খরচ, পরিবেশবান্ধব, সহজ চাষ পদ্ধতি ও পানি সাশ্রয়ী হওয়ার পরও শুধুমাত্র মানুষের অবহেলা-অনাদরে কাউনের চাষ আর নেই। ফসলটি যেন কালের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। কাউনের বৈজ্ঞানিক নাম ছিটারিয়া ইটালিকা গোত্র-গ্রামিনি।
এক মাস ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কাউন চাষের দেখা মেলেনি মতলব উত্তর উপজেলায়। কথা হয় মতলব উত্তর উপজেলার চরকাশিম এলাকার মিন্নত বেপারী (৭০) সঙ্গে। তিনি জানান, আগে আমাদের এ অঞ্চলে অনেক জমিতেই কাউন চাষ হতো, এখন আর চোখে পড়ে না। ফসলটির চাষ পদ্ধতি সহজ, স্বল্প খরচ, পানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। শুকনো জমিতে ঝুরঝুরে চাষের পর চৈত্র (এপ্রিল) মাসে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। আষাঢ় (জুলাই) মাসে ফসল ঘরে ওঠে।
তিনি আরও জানান, মাঝে একবার নিড়ানি দিলেই হয়, সেচের প্রয়োজন হয় না। ফলন হয় বিঘাপ্রতি ১০-১৫ মণ। বাজারে চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাছাড়া কাউনের শীষ ছিঁড়ে নিয়ে অবশিষ্ট গাছ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে জৈব সারের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। আবার কেউ কেউ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে। কাউনের ভাত অত্যন্ত সুস্বাদু ও মুখরোচক। জন্ডিস রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। পিঠা-পায়েস তৈরিতে এর কোনো জুড়ি নেই।
ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহীদ উল্লাহ প্রধান জানান, লাভজনক, সুস্বাদু, পরিবেশবান্ধব, স্বল্প খরচে আবাদযোগ্য ও পানি সাশ্রয়ী কাউন নামের দেশি এ ফসলটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত। দেশীয় জাতের এ ফসলটিকে আমাদের স্বার্থেই সংরক্ষণ করতে হবে। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না কাউন নামটি।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, কাউন ফসলটি আসলেই বিলুপ্তির পথে। উপজেলায় এখন কোনো চাষি কাউন আবাদ করে কিনা আমার জানা নেই। আমাদের স্বার্থেই দেশীয় জাতের কাউন ফসলটিকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, কাউন নামের ফসলটি আর নেই বললেই চলে। ফসলি জমি কমে যাওয়া ও বাজার মূল্য কম থাকায় ফসলটি এখন আর দেখা যায় না। তবে বিলুপ্তপ্রায় ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


© All rights reserved © 2020 bdnewseye.com
Developed BY M HOST BD