• মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০২:২৯ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা ঈদের ছুটিতেও না.গঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরুরি পরিসেবা চলমান শহিদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণে জেলা প্রশাসকের আশ্বাস: “শহিদরা আমাদের গর্ব, তাঁদের পরিবার আমাদের পরিবার” বিএনপি নেতা রোমেন -এর ঈদ শুভেচ্ছা শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে ঈদের শুভেচ্ছা না.গঞ্জে ৭৪টি পশুর হাটে সেবা দিচ্ছে ভেটেরিনারি টিমের ১৬০জন সদস্য নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের মত বিনিময় সভা নানা আয়োজনে নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত শিক্ষা ও মানবিকতা উন্নয়নে বাংলাদেশের রোড মডেলে তৈরি হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ 

হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ৫২৬ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১
কাউন

সুস্বাদু একটি ফসলের নাম কাউন। যা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এক সময় গ্রামেগঞ্জে ব্যাপকভাবে চাষ হলেও বর্তমানে উন্নত জাত ফসলের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে কাউন। স্বল্প খরচ, পরিবেশবান্ধব, সহজ চাষ পদ্ধতি ও পানি সাশ্রয়ী হওয়ার পরও শুধুমাত্র মানুষের অবহেলা-অনাদরে কাউনের চাষ আর নেই। ফসলটি যেন কালের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। কাউনের বৈজ্ঞানিক নাম ছিটারিয়া ইটালিকা গোত্র-গ্রামিনি।
এক মাস ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কাউন চাষের দেখা মেলেনি মতলব উত্তর উপজেলায়। কথা হয় মতলব উত্তর উপজেলার চরকাশিম এলাকার মিন্নত বেপারী (৭০) সঙ্গে। তিনি জানান, আগে আমাদের এ অঞ্চলে অনেক জমিতেই কাউন চাষ হতো, এখন আর চোখে পড়ে না। ফসলটির চাষ পদ্ধতি সহজ, স্বল্প খরচ, পানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। শুকনো জমিতে ঝুরঝুরে চাষের পর চৈত্র (এপ্রিল) মাসে বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হয়। আষাঢ় (জুলাই) মাসে ফসল ঘরে ওঠে।
তিনি আরও জানান, মাঝে একবার নিড়ানি দিলেই হয়, সেচের প্রয়োজন হয় না। ফলন হয় বিঘাপ্রতি ১০-১৫ মণ। বাজারে চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাছাড়া কাউনের শীষ ছিঁড়ে নিয়ে অবশিষ্ট গাছ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে জৈব সারের ঘাটতি মেটানো সম্ভব। আবার কেউ কেউ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করে। কাউনের ভাত অত্যন্ত সুস্বাদু ও মুখরোচক। জন্ডিস রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। পিঠা-পায়েস তৈরিতে এর কোনো জুড়ি নেই।
ওটারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহীদ উল্লাহ প্রধান জানান, লাভজনক, সুস্বাদু, পরিবেশবান্ধব, স্বল্প খরচে আবাদযোগ্য ও পানি সাশ্রয়ী কাউন নামের দেশি এ ফসলটি যাতে বিলুপ্ত হয়ে না যায় এ জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত। দেশীয় জাতের এ ফসলটিকে আমাদের স্বার্থেই সংরক্ষণ করতে হবে। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতেই পারবে না কাউন নামটি।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, কাউন ফসলটি আসলেই বিলুপ্তির পথে। উপজেলায় এখন কোনো চাষি কাউন আবাদ করে কিনা আমার জানা নেই। আমাদের স্বার্থেই দেশীয় জাতের কাউন ফসলটিকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, কাউন নামের ফসলটি আর নেই বললেই চলে। ফসলি জমি কমে যাওয়া ও বাজার মূল্য কম থাকায় ফসলটি এখন আর দেখা যায় না। তবে বিলুপ্তপ্রায় ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..