বিশেষ সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের নরসিংপুর আদর্শনগর এলাকায় নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ,
স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক দল সন্ত্রাসী বাহিনী নির্মাণাধীন জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদে দিনের আলোতে পরিকল্পিত ভাবে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় মসজিদের সাইনবোর্ড ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং মসজিদে প্রবেশ করে মাইকে ঘোষণা করে পুরো এলাকায় আতংক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে মসজিদের পাশের বাড়ীর মালিক বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি সন্ত্রাসী বাহিনীদের ভাংচুরে বাঁধা দিলে কাশীপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীরের উপস্থিতিতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দোসর, ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামী যুবলীগ নেতা ওমর, যুবলীগ নেতা নূর আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যা মামলার আসামী যুবলীগ নেতা মনির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহীদ মাদবর, যুবলীগ নেতা মির্জা, যুবলীগ নেতা আপেল সহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে।
ঘটনাটি শুক্রবার ১৫ আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১১টায় সময় কাশীপুরের উত্তর নরসিংপুর আদর্শ নগর এলাকায় জান্নাতুল বাকী জামে মসজিদে ঘটে।
এ বিষয়ে মসজিদের মোতোয়ালি ও দাতা মাওলানা আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার দাদা মরহুম জাহেদ আলী- সাবেদ আলী’র জোত অর্থাৎ আমার ৩ পুরুষের জোত সম্পত্তি মৌজা উত্তর নরসিংপুর এলাকা হতে ৪ শতাংশ ৫০ পয়েন্ট জায়গায় বিগত ১২ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে মসজিদের দানকৃত জায়গায় এলাকাবাসির সার্বিক সহযোগিতায় একটি টিনের মসজিদ নির্মাণ করে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় চলছে। গত বছর উক্ত মসজিদটির সংস্কার করে বিল্ডিং নির্মাণ এর কাজ সকালের সহযোগিতায় পূর্ণ নির্মাণের কাজ করে ১ তলা কমপ্লিট প্রায়। বর্তমানেও মসজিদটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় মসজিদের জন্য এস.এস. স্ট্রিলের বানানো একটি সাইনবোর্ড লাগানো হলে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতা আলমগীরের ছত্রছায়ায় এক ঝাঁক আওয়ামী লীগের দোসর সন্ত্রাসীরা হামলাসহ ভাংচুর ও মারধর করে হুমকি দমকি দিয়ে চলে যায়।
এসময় মসজিদের মোয়াজ্জেম ও প্রতিবেশী বিল্লাল মিয়া উপরোক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীকে ভাংচুরের কারন জানতে চাইলে তারা জানায়, আজ থেকে এই মসজিদের নাম ঠিকানা হবে চর কাশীপুর মসজিদ। জোর পূর্বক মসজিদের ঠিকানা পরিবর্তন ও অন্য সমাজের এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করতে অপপ্রচেষ্টা চালাতে মসজিদের মাইক দিয়ে ঘোষণা দিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে হয় অন্য কোন অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার লক্ষ্যে এসকল সন্ত্রাসী বাহিনী একর্ত্রিত হয়ে এরূপ নেক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যথায় কি কারনে আল্লাহর ঘর মসজিদে হামলা ও ভাংচুর করবে ?
আমরা গ্রামবাসীর এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। এর আগে বিগত সরকারের আমলে এই এলাকার মনগড়া নামকরন করে মুজিবনগর। এখন করছে মসজিদের নাম পরিবর্তন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, র্যাব-১১ ও সেনাবাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন নরসিংপুর আদর্শ নগর এলাকাবাসি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...