নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের সহযোগী সোহেল মাহমুদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাবুরাইল তাতীপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার অধিবাসীরা। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের সহযোগী পরিচয়ে সে দীর্ঘদিন ধরেই ত্রাসের রাজত্ব বিরাজ করে আসছিল। চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতার কারবার চালাতে সে গড়ে তুলেছে বিশাল কিশোর গ্যাং। যে কারণে স্থানীয়রা তাকে কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার হিসেবেও আখ্যা দেয়। তার ভূমিদস্যুতার কবল থেকে রেহাই পায়নি আপন বড় ভাই। নিজের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে সে মাসে মাসে জাকির খানকে মোটা অংকের মাসোহারাও প্রদান করতো। এছাড়া পুলিশ ও পিবিআইয়ের সোর্স পরিচয় দিয়েও সে প্রতিপক্ষকে নানাভাবে ঘায়েল করতো। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খান গ্রেফতার হওয়ার পরে অবশেষে সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, শহরের ১নং বাবুরাইল তাতীপাড়া এলাকার আব্দুস সোবহানের পুত্র সোহেল মাহমুদ। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের সহযোগী পরিচয়ে সে ১নং বাবুরাইলের শেষমাথা তাতীপাড়া থেকে নাগবাড়ির মোড় পর্যন্ত গড়ে তুলেছিল অপরাধের স্বর্গরাজ্য। পুলিশ ও পিবিআইয়ের সোর্স পরিচয়ে দাবড়ে বেড়াতো এসব এলাকা। দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানকেও সে নিয়মিত মাসোহারা দিত। এক বিএনপি নেতার ভাগ্নে পরিচয়ে দিয়ে সে দীর্ঘদিন আগে থেকেই এলাকায় দোর্দন্ড দাপট দেখিয়ে আসছিল। চাঁদাবাজি ও অন্যের জমি দখলই ছিল তার অন্যতম প্রধান কাজ। সম্প্রতি ১নং বাবুরাইলের খোরশেদ আলম মনু মিয়ার জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল করে সোহেল মাহমুদ। তার ভূমিদস্যুতার কবল থেকে রেহাই পায়নি আপন বড় ভাই মিজানুর রহমানও। ভূমিদস্যু সোহেল মাহমুদ আপন বড় ভাই মিজানুরের জায়গাও দখল করে নিয়েছে। নিজের অপরাধের স্বর্গরাজ্য টিকিয়ে রাখতে সে গড়ে তুলেছে বিশাল কিশোর গ্যাং। এসব কিশোর গ্যাংদের দ্বারা সে জমি দখল ও চাঁদাবাজি করতো বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ১নং বাবুরাইলের শেষমাথা তাতীপাড়া থেকে নাগবাড়ির মোড় পর্যন্ত এলাকাবাসী। এদিকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খান গ্রেফতারের পরে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। তারা অবিলম্বে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের সহযোগী সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতনদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...