• মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৩ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
জুলাই শহিদদের প্রকৃত সম্মান হবে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া: উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান না.গঞ্জ বন্দরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের অবস্থান কর্মসূচি পালিত সংস্কার চাই আমরাও, কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করে নয়ঃ সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন গলাচিপায় দুইদিনব্যাপী শোহদায়ে কারবালা মাহফিল অনুষ্ঠিত নাঃগঞ্জ বন্দর রেলগেইটে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর ২য় শাখা অফিস উদ্বোধন  যুগের পর যুগ রিয়া ও সুমাইয়ার নাম থাকবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ না.গঞ্জ সদরে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ না.গঞ্জ সদরের রাজাপুর ঘাট ইজারা পুনঃ দরপত্র এইচএসসি,আলিম ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা রোমেন

মেয়র আইভীর করা আপিল আদালতে খারিজ

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ৬৪৯ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বিডি নিউজ আই, নারায়ণগঞ্জ: নগরীর ২নং রেল গেইটে রহমতউল্লাহ্ মুসলিম ইনস্টিটিউট ভবনের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে দায়ের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এই আদেশ দেন ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার মামলার আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. মো. হাসান ফেরদৌস জুয়েল জানান, ‘রহমতউল্লাহ্ মুসলিম ইনস্টিটিউট ভবন ভাঙ্গার বিরুদ্ধে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও আপিল না করেই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পরে আপিল করা হলে আজ সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষের আইনজীবী এড. আনিছুর রহমান দিপু জানান, ‘আদালত আপিল খারিজ করে দিয়েছে, তবে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।’

ভুক্তভোগী ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার দায়িত্বে থাকার সময় ২০০৮ সালে একবার ভবনটি ভাঙ্গার উদ্যোগ নিয়ে ছিলো সেলিনা হায়াত আইভী। সেই সময় ভবনটির উচ্ছেদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি রীট (যাহার নং-১৫২৮/২০০৮) করা হয়। উচ্চ আদালত রীটের প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ কার্যক্রম না করতে ১০ দিনের অন্তবর্তীকালিন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে একই বছরের ৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ চতুর্থ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে শুধু মাত্র সেলিনা হায়াত আইভীকে বিবাদী করে ভবনটি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করা হয় (মামলা নং-২৩/২০০৮)। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর ‘রহমত উল্লাহ ইনস্টিটিউট ভাঙ্গা বা বিবাদীদের বেদখল করার বিষয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি’ করে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। সেই স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার কোন রকম আপিল না করে ২০১৯ সালের ২০ জুন ভবনটি ভেঙ্গে দেওয়া। এ ঘটনায় মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে ‘আদালতের নির্দেশ অবমাননা’র মামলা করে ভুক্তভোগী ৩৫ জন দোকানী। একই সাথে ক্ষতি পূরণের দাবিতে আরেকটি মামলাও চলমান রয়েছে।

পরে আদালতে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষ থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।

জেলা জজ আদালতের জিপি (গভর্নমেন্ট প্রসিকিউটর) মেরিনা বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘আপিল আবেদন খারিজ হওয়ার ফলে এখন আদালতের পূর্বের নির্দেশই বহাল রয়েছে। এছাড়া আদালত অবমাননা মামলা ও ক্ষতি পূরণের দাবিতে দায়ের করা মামলা চলমান রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ৩০ এর দশকে তৎকালীন নারায়ণগঞ্জে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকটাই করুণ অবস্থায় ছিল। চাকুরি, ব্যবসা, বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অনগ্রসরে সংখ্যা ঘরিষ্ঠ হওয়ার পরেও পিছিয়ে ছিল মুসলমানরা। সেই দুর্দিনে এস রহমতউল্লাহ নামের একজন আইসিএস অফিসার নারায়ণগঞ্জের প্রথম মুসলিম মহকুমা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর সক্রিয় সাহায্য সহযোগিতা ও সাহসিকতায় পৌরসভার লীজ কমিটি থেকে চিরস্থায়ী লীজ নিয়ে ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠত হয় ‘রহমতউল্লাহ্ মুসলিম ইনস্টিটিউট’। এরপর ৪৭ সালের মুসলিম আন্দোলন, ৫২ এর ভাষা আন্দেলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬ দফা, ৬৯ এর গণ অভ্যুথান ও ৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে বাংলার ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের পদারচণ হয়েছিল। এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এসে ছিলেন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..