সস্তা জনপ্রিয়তা পছন্দ করেন না বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। বুধবার (২৬ মে) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সাংসদ বলেন, ‘সাংবাদিক হলেই যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এটাও যেমন ঠিক না তেমনি সাংবাদিক না হলে যে ঠিক হবে সেটাও ঠিক না। সস্তা জনপ্রিয়তা আমি পছন্দ করি না। আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমি যদি ওই জায়গায় থাকতাম তাহলে প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি কিংবা ওই পত্রিকার সম্পাদক কিংবা কাউকে ডাকতাম। অপরাধ করলে বলতাম, উনি সচিবালয়ে নিষিদ্ধ। রোজিনার যে ব্যাপারটা আমি বলতে চাই আমি যদি সেখানে দায়িত্বে থাকতাম তাহলে কোনো অবস্থাতেই তাকে আমি গ্রেফতার হতে দিতাম না।’
পাসপোর্টে ইসরায়েলের নাম তুলে দেয়া প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘এটা কিন্তু এই মুহুর্তে হয়নি। এটা মিডিয়া এই মুহুর্তে এনেছে। যেহেতু ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এটা বলেছেন, সেহেতু এই মুহুর্তে এনেছেন। কিন্তু আমি নিজেও ৬-৭ মাস আগে পাসপোর্ট নিয়েছি আমি দেখেছি সেখানে কিন্তু এটা নেই। এটা নতুন কোনো জিনিস না। প্রথম থেকেই এটা হয়ে আসছে। পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলো যখন চুপ ছিল তখন কেউ কথা বলার আগেই কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তীব্রভাবে প্রতিবাদ করেছেন।’
রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘আমি রোজিনা ইসলামের ভুল ধরবো না। তার ভুল পরে ধরবো। প্রথম ভুল যেটা হচ্ছে তা হলো, বিষয়টাকে অনেক সহজে সমাধান করা যেত। যে অভিযোগটা উনার বিরুদ্ধে দাড় করিয়েছে সেই কাজটি অনেক সহজভাবে এই সাংবাদিকদের সাহায্য নিয়েই করা যেত।’
সাংসদ বলেন, ‘বিএনপির সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপি আজকে সাংবাদিকদের জন্য কাঁদছে। হত্যা হয়তো বিএনপি করতে বলে নাই। তাদের সিদ্ধান্ত ছিল না। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে কিন্তু দায়িত্ব বিএনপিকে নিতে হচ্ছে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘যেহেতু তথ্য অধিকার আইন আছে, ওনার উচিত ছিল তার মাধ্যমে কোন কিছু চাওয়া। যদি না পেতেন সেটার ব্যাপারে উনি লিখতে পারতেন। সেখানে উনি যেটা ঘটিয়েছেন, ধরলাম অপরাধ করেছেন। অপরাধ করার পরে প্রেস ক্লাব আছে, সাংবাদিক ইউনিয়ন আছে, ক্র্যাব আছে, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংস্থা আছে কিংবা প্রথম আলো পত্রিকা আছে। আমার মনে হয় উনাকে সম্মানের সাথে বসিয়ে রেখে উনাদেরকে কল করে প্রেসক্লাবের সভাপতি-সেক্রেটারিকে কল করে আনতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই নিজের প্রশ্নে উত্তর পাইনি। আমি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে দুটি পত্রিকা এবং আমাদের একজন তথ্য উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আমি কিন্তু বক্তব্য দিয়ে ছিলাম। আইনে ধারা অনুযায়ী স্পিকারের কাছে নোটিশ দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে যে ধরনের লেখা হয়েছিল সেটা প্রমাণের জন্য আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। একবার না কয়েকবার। আমি নিজেওতো কোন জাস্টিস পেলাম না।’
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...