বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ০২:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

২৬ জুন ভোর থেকে পদ্মা সেতুতে চলবে যান

বিডি নিউজ আই: উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন ভোর ছয়টা থেকে বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১২ জুন) বিকেলে পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু এখন স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। এটা আমাদের সামর্থ্য ও সক্ষমতার সেতু। একদিকে সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। অন্যদিকে আমাদেরকে যে অপমান করেছে, তার প্রতিশোধের প্রতীকও।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্বব্যাংক পরবর্তী সময়ে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার সব কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর দৃঢ়তা না থাকলে এই সেতু হতো না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের দুর্নীতি ও চুরির অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল। বিশ্বব্যাংক যে অপমান করেছে, তা গোটা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে অপমান করেছে। আমাদের জাতির ভাবমূর্তিকে অপমান করেছে।

২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ওইদিন সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। তারপর ১১ বা সাড়ে ১১টায় তিনি ওপারে যাবেন।

পদ্মা সেতু পার হতে কতটুকু সময় লাগবে সে ব্যাপারে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘অনলি সিক্স মিনিট’। এ সময় তিনি জানান, পদ্মা সেতুতে টোল ইলেক্ট্রনিক ও ম্যানুয়াল দুই পদ্ধতিতেই আদায় করা যাবে।

এর আগে গত ২৪ মে গণভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দেন। আর এই সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে বলেও জানান তিনি।

গত ১৭ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পরিবহনের জন্য আলাদা আলাদা টোল হার নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ।

সেতুর মূল আকৃতি দোতলা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের এই সেতু।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


© All rights reserved © 2020 bdnewseye.com
Developed BY M HOST BD