• বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
ভাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা ও ভুয়া ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ তীব্র তাপদাহে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ট্রাফিক পুলিশের প্রশান্তি বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবি সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান না.গঞ্জ সদরে বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত ৫০ ঊর্ধ্বে কফি হাউজ শেষবেলা ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাশীপুরে আ’লীগের সন্ত্রাসীদের মসজিদের হামলা- ভাংচুর না’গঞ্জ সদর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত না.গঞ্জে নানা আয়োজনে পালিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত নবাগত সদর ইউএনও তাছলিমা শিরিন নিন্দুকদের সমালোচনা অতিক্রম করে সততার পথে এগিয়ে যেতে চান নারী উদ্যোক্তা ইমা

হিন্দু পরিবারের সেই জমিতে বালু ভরাট কাজ বন্ধ

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ২৯০ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২১ জুন, ২০২১
নিট কনসার্নের পরিচালক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর মোল্লা।

নারায়ণগঞ্জের জামতলায় সেই হিন্দু পরিবারের জমি ভরাট কাজ বন্ধ রেখেছেন নিট কনসার্নের পরিচালক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর মোল্লা। গত শনিবার দিবাগত রাতে জোরপূর্বক জমি বালু দিয়ে ভরাট করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল ভুক্তভোগী পরিবারকে। তবে এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় দখলদাররা আর আসেননি বলে জানান ভুক্তভোগী উত্তম দাস।

রোববার (২০ জুন) তিনি বলেন, ‘গত ১৮ জুন তাদের জমি ভরাট করতে আসে একদল সন্ত্রাসী। ওই সন্ত্রাসীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু ও সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নির্দেশে জমি ভরাট করতে এসেছেন। ভুক্তভোগী পরিবার তাতে বাধা দিলে তাদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় সন্ত্রাসী বাহিনী। তারা শনিবার দিবাগত রাতে ভেকু দিয়ে জমি ভরাট করবে বলে হুমকি দেয়। আমরা সারারাত আতঙ্কে ছিলাম। তবে কেউ আর আসেনি।’

ভুক্তভোগী শহরের জামতলা ধোপাপট্টি এলাকার বাসিন্দা উত্তম দাস বলেন, ১৯৬২ সালে তার পিতা মৃত লাল মোহন দাস হিন্দু জমিদারদের কাছ থেকে সাড়ে ২৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ওই জমির সকল কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে। ১২ শতাংশ জমির উপরে তাদের ঘরবাড়ি ও পারিবারিক মন্দির রয়েছে। বাকি অংশ খালি রয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের পুরো সম্পত্তির মালিক তারা ছয় ভাই। তারাই এই জমির ভোগদখল করছেন। ১৯৬৮ সালে এই জমির ক্রয়সূত্রে মালিক দাবি করে জনৈক জেসমিন চৌধুরী জাল দলিল তৈরি করেন। জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে উত্তম দাস ও তার ভাইয়েরা জেসমিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেন। মামলাটি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুগ্ম জজ ১ম আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন আদালত। তবে ওই জমি জেসমিন চৌধুরীর কাছ থেকে কিনেছেন দাবি করে নিট কনসার্নের পরিচালক জাহাঙ্গীর মোল্লা বালু দিয়ে ভরাট করা শুরু করেন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..