• শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৭ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
আজ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ -এর মৃত্যুবার্ষিকী সিদ্ধিরগঞ্জে আঁধারে আলো প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা’ উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের মাঝে চাল বিতরণ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী হবেন কৃষকদল নেতা শরিফ মোল্লা ঢাকা-১৭ আসনে খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী এমদাদুল’র গণসংযোগ বিএন‌পি’র ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা: আনিসুল ইসলাম সানি ‎ নারায়ণগঞ্জ জার্নালিস্ট ইউনিটি’র উদ্যোগে দোয়া ও বিদ্যুৎ এর জন্মোৎসব উদযাপন জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে -ডিসি জাহিদুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত ফতুল্লায় দলিতদের অংশগ্রহণে গ্রাম আদালতের উঠান বৈঠক না’গঞ্জের ফতুল্লায় ২টি ষাঁড় পালনের মধ্য দিয়ে সফল নারী খামারী ফরিদা

ওয়াল্ট ডিজনির ফিরে আসাটা পোশাকশিল্পের জন্য সুখবর: মোহাম্মদ হাতেম

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ৩৫১ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
বিকেএমইএ’র সিনিয়র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘ওয়াল্ট ডিজনির ফিরে আসাটা আমাদের পোশাকশিল্পের জন্য সুখবর। আমরা যে ঘুরে দাঁড়িয়েছি এটার প্রমান, তাদের ফিরে আসা’।
আট বছর পর বাংলাদেশ থেকে আবারও তৈরি পোশাক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের বৃহৎ সংগঠন বিকেএমইএ’র সিনিয়র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াল্ট ডিজনি’ বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসা সরিয়ে নেয়। বাংলাদেশ থেকে আবারও পোশাক কেনার বিষয়টি ওয়াল্ট ডিজনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে না বললেও লাইভ নারায়ণগঞ্জকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিকেএমইএ’র সিনিয়র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি বলেন, ‘ওয়াল্ট ডিজনির বাংলাদেশে ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য এটা একটা অত্যান্ত শুভ সংবাদ। ২০১৩ সালে রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর যখন তারা বাংলাদেশে থেকে ফিরে যায়, তখন খুবই ইমেজ সংঙ্কটে পড়েছিল আমাদের তৈরী পোশাক খাত। সেই অবস্থা থেকে আমরা যে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, তার বড় প্রমান হচ্ছে ওয়াল্ট ডিজনি’র ফিরে আসা। এবং এটা বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব স্বীকৃতি, বর্তমানে বিশ্বের যতগুলো দেশ পোশাক রপ্তানী করে, তাদের জন্য রোল মডেল বাংলাদেশের পোশাক খাত।’
জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়াল্ট ডিজনির বিক্রয়কেন্দ্র বর্তমানে তিন শতাধিক। প্রতিষ্ঠানটি নারী-পুরুষের পাশাপাশি বাচ্চাদের পোশাক বিক্রি করে। এ ছাড়া বাচ্চাদের খেলনাসহ নানা ধরনের পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য জনপ্রিয় ডিজনি।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় এক হাজারের বেশি পোশাকশ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানার মান নিয়ে দেশে–বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিদেশি অনেক সংগঠন বাংলাদেশি পোশাক বর্জনের ডাক দেয়। এ রকম একটা সময়েই ওয়াল্ট ডিজনি বাংলাদেশ থেকে পোশাক না কেনার সিদ্ধান্ত জানায়। তখন বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। অবশ্য পরবর্তীকালে দেশি-বিদেশি উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হয়। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের কাজ করা কমপ্লায়েন্ট কারখানাগুলোর সংস্কারকাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে।
আট বছর পূর্বে যখন বাংলাদেশ থেকে ওয়াল্ট ডিজনি তাদের ক্রয়াদেশ ভিয়েতনামে সরিয়ে নেয়, তার পূর্বে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে বছরে ৫০ কোটি ডলার বা ৪ হাজার কোটি টাকার পোশাক কিনত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারত থেকে প্রচুর পোশাক আমদানি করত তারা। মিয়ানমারের সঙ্গেও ব্যবসা শুরু করেছিল। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রাম, পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ তদারকিতে নিয়োজিত নিরাপন ও আরএমজি সাসটেইনেবল কাউন্সিলের (আরএসসি) অধীন থাকা কারখানাগুলো ওয়াল্ট ডিজনির ক্রয়াদেশ পাবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..