বেকারত্বের মুক্তি
খামার করো কপাল গড়ো
আছো যতো যুবক ভাই,
অর্থ কামাও জীবন সাজাও
আপন রুজির তুল্য নাই।
গরু ছাগল ভেড়া মহিষ
মাছ মুরগি হাঁস করো চাষ,
আপন পর ও দেশবাসীর
ফুটবে হাসি কাটবে ত্রাস।
খাদ্য পুষ্টির মিটবে অভাব
জীবন যাত্রায় মিলবে খাপ,
দেশ-মাতারও কমবে বোঝা
ঘুচবে বেকার অভিশাপ।
সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে
অর্থনীতির বাড়বে মান,
নির্মাণ হবে পাকাবাড়ি
বলবে লোকে ভাগ্যবান।
চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে তাই
খামার কাজে নেমে যাই,
অধ্যাবসায় কর্মগুণে
দুঃখ ঘুচে সুখ বুনাই।
মায়ের ভবিষ্যত
আবছা জালে ছন্ন আমার
বাংলা মায়ের ভবিষ্যত,
স্বাধীন সত্তার সংশয়তায়
ফিকে হচ্ছে বাঁচার পথ।
মত প্রকাশে খড়্গ আসে
গণতন্ত্রে রং-তামাশা,
নাগরিকের ভোটাধিকার
নেই বলে তাই ক্ষোভ-হতাশা।
রাজ ক্ষমতার পালাবদল
জনজীবন ঝুলে রাখা,
দুটি পক্ষের দোলাচলে
অমাবস্যায় ঘিরে থাকা।
উঁচু-নিচুর ব্যবধানটা
ব্যাপক আকার করছে ধারণ,
ক্ষমতার জোর বাড়ছে পীড়ন
অমানিশায় বেড় নিবারণ।
ঘুষ-দুর্নীতির চরম প্রকোপ
দীন-দুখিরা অনাহারে,
বিরোধীদের সমালোচনা
কৈফিয়ত নেয় নির্বিচারে।
স্বার্থেরনীতি নিরবধি
ক্ষমতার মোহে অন্ধ-রাজ
পাঁচ মৌলিক চাহিদার ফোঁস
আমজনতার কপালে ভাঁজ।
মরেও অমর
মাতা-পিতার মিলনে
এই জনম ফলনে
পরবাসিতা ধরণে
দুনিয়ার আলো-বায়ু পাই,
সেই অসহায় ক্ষণে
কাঁদি প্রথম জীবনে
ভুলি তা সুখ লগনে
ভাবি আজি নিজেকে মশাই।
ধরাতে মরিতে হবে
তবুও অবাধে সবে
উতলা মনেতে ভবে
করে চলেছি কতো খুনখারাপি,
হালে আবদ্ধ সততা
ঘোরে ডুবিছে মমতা
হারাচ্ছে প্রীতি হৃদ্যতা
বেড়েছে বহুগুণে ভাঁড়ামি।
বাঁচিতে জশ পবনে
জাগিয়ে খোশ মননে
জ্বালিয়ে দীপ ভুবনে
গাই গীত একতার সুরে,
মিটিয়ে ক্ষোভ শত্রুতা
গড়িয়ে মিল-মিত্রতা
ভুলিলে জিদ-তিক্ততা
স্বগৌরবে যাবে বুক জুড়ে।
হতাশার নদী সেচে
অন্তরের দুঃখ কেচে
আশার কোশাতে বেঁচে
ফোটাই কূলে বিজয়ী ফুল,
মাড়িয়ে ঘৃণ্য সমর
করণে এঁকে ওমর
মরেও হই অমর
শোধরিয়ে জীবনের স্ব-মূল।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...