বিডি নিউজ আই, নারায়ণগঞ্জ: একই এলাকায় খুন হয়ে ছিল ইমন নামের এক হোসিয়ারী শ্রমিক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামী ছিলেন মেহেদী হাসান। মাত্র ১ বছর ১০ দিনের ব্যবধানে ৩০ জুলাই রাতে সেই মেহেদী হাসানও খুন হয়েছে।
নিহতের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, ‘সেই খুনের বদলে খুন করা হতে পারে মেহেদী হাসানকে।’
ফতুল্লা মডেল থানার দেওভোগ মাদ্রাসার শেষ মাথার মিয়াপাড়া সংলগ্ন হাজীর বাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মাঝেও।
খুনের শিকার ২৩ বছর বয়সী মেহেদী হাসান দেওভোগ শেষ মাথা মিয়াপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে ওমর ফারুকের সাথে ২০২১ সালে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় বলে জানা গেছে আব্দুল্লাহ-ডেবিড ও তাদের অনুসারীদের মাঝে। সেই সময় দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার মারামারির ঘটনাও ঘটে ছিল। জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৭ জুলাই আব্দুল্লাহকে পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় মারপিট ছিল ওমর ফারুক। সেই রাতেই ওমর ফারুককে খুঁজতে ডেবিড-আব্দুল্লাহ দুই ভাই। এ সময় ওমর ফারুককে না পেয়ে তাঁর ভাই ইমনের উপর হামলা করেন। ছুরিকাঘাতে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান ইমন (২৩)।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় মেহেদী হাসানকেও। পুলিশ তদন্ত শেষে মেহেদী হাসানকে আসামী করে চাটশিট দিয়েছিল আদালতে। চলতি বছরের ৩০ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় সেই একই এলাকায় মেহেদী হাসানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যাকরে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার পরপর নিহতের বোন দোলন জানান, ওমর, রোমান, সবুজ ও মাইকেল নামের যুবকদের সাথে দ্বন্দ্ব ছিল মেহেদী হাসানের।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আবু হানিফ জানায়, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রোববার রাত দশটার দিকে নিহত মেহেদী হাসানকে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতক চক্র। হত্যাকান্ডের মিশনে অংশ নেওয়া ঘাতকদের চিন্থিত সহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ প্রতক্ষ্যদর্শী এক চা দোকানীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, ‘মেহেদী হাসান খুনের ঘটনায় বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেহেদী হাসানও ইমন হত্যা মামলার চার্জসীটভুক্ত আসামী ছিলেন। ধারণা করা হয়েছে, ইমন হত্যাকাণ্ডের সাথে নিহত মেহেদী হাসানকে খুনের ঘটনায় যোগসূত্র রয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...