নিজস্ব সংবাদদাতা: ঝড়ের বেগে বাড়তে শুরু করেছেন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা ১শ ছাড়িয়েছে আর আক্রান্ত ৫ হাজারের উপরে। তবুও জনগণের মাঝে বিন্দুমাত্র সচেতনতা লক্ষ্য করা যায় নি।
এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জুন (মঙ্গলবার) থেকে নারায়ণগঞ্জসহ ৭ জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার এবং সেই সাথে আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। এসব বিধিনিষেধের মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনও উদাসীনতা দেখা গেছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) সারা শহর ঘুরে দেখা গেছে এমন সব দৃশ্য। শহরের চেম্বার রোড এলাকায় হকারদের দোকানে এবং শীতলক্ষ্যা নদীরপাড়ে ছিলো উপচে পড়া ভীড়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের মুখে ছিলো না কোন মাস্ক। শুধু তাই নয়, শহরে তুলনামূলক ভাবে মানুষের উপস্থিতি এতটাই বেশি ছিলো যে, যা দেখে রীতিমত আতকে উঠার মত পরিস্থিতি। মানুষ যেন পাগলের মত ছুটছে। সবাই যেন মহাব্যস্ত। দেখে মনে হচ্ছে, কি জানি কি হতে চলেছে!
এমন পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমত শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে নারায়ণগঞ্জ তথা বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। যা সরকারের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হবেনা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির শুরুতে আমরা দেখেছি রাস্তা-ঘাটে মানুষের লাশ পড়ে থাকতে। লাশ দাফনে কিংবা সৎকারে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভেবেছিলাম, সেই পরিস্থিতি থেকেই শিক্ষা নেবে আমাদের দেশে মানুষ। কিন্তু না। শিক্ষার মনেহয় আরও বাকি আছে। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতি পেরিয়ে আসার পর আমাদের উচিৎ ছিলো আরও বেশি সচেতন হওয়া। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। কিন্তু দেখলাম মানুষ অসচেতনই শুধু নয়, মানুষ বেপরোয়া হয়েছে। মানুষের এ বেপরোয়া ভাব বিপদ বাড়াবে। তাই এ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের পুনরায় সেই আগের জায়গায় ফিরে যেতে হবে এবং মাস্ক পড়তে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, সুরক্ষা থাকতে হবে। তবেই আমাদের জয় হবে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...