ওসমান পরিবারের সদস্যদের নামে সেতু ও সড়কের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। তিনি বলেন, সরকারের কতিপয় মন্ত্রী ও আমলারা টাকা খেয়ে এই নারায়ণগঞ্জের রাস্তা ও বিভিন্ন স্থাপনা বিভিন্ন জনের নামে নামকরণ করছেন। আমরা এই মন্ত্রী ও আমলাদের প্রশ্ন করতে চাই, দয়া করে আমাদের জানান যাদের নামে নামকরণ করলেন তাদের এই নারায়ণগঞ্জে বা দেশে অবদান কী? লাশ ফেলা, খুন খারাবি এগুলো যোগ্যতার মধ্যে পরে কিনা এ বিষয়গুলো আমাদের জানান। নারায়ণগঞ্জের মানুষ হিসেবে এ বিষয়গুলো জানার অধিকার আমাদের রয়েছে। সরকার এই নামকরণ নিয়ে যেই ঘটনা দেশে ঘটিয়ে চলেছে বিশ্বে এমন নির্লজ্জ ঘটনার নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (৮ জুন) সন্ধায় ত্বকী হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ত্বকীর ঘাতক যারা তাদেরকে সরকার বিভিন্ন সময়ে পুরষ্কৃত করেছে। অন্যান্য খুনের আসামীদের পুরষ্কৃত করার অসংখ্য নজির আমরা দেখেছি। সরকার এতে লজ্জিত হয় না। কিন্তু আমরা বলতে চাই, ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার বলে জনগণের মতামত তোয়াক্কা না করে যা ইচ্ছে তাই করে কালের পর কাল অতিক্রম করা যাবে না। তারপরও এ সরকারকে আমরা বলি ত্বকী সহ নারায়ণগঞ্জে অন্যান্য হত্যার বিচার করুন। আমরা সাগর-রুনি, তনুসহ দেশে অন্যান্য হত্যাকান্ডের বিচার দেখতে চাই। বছরের পর বছর এসব হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিয়ে নিজেদের সন্ত্রাসীদের লালন-পালন ও রক্ষা করে পার পাবেন না। তাই আজকের এই আয়োজন থেকে সরকারকে পেছনের ইতিহাস পাঠ করার আহবান জানাই।
এসময় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, জেলা গণসংহতির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের কার্যকরী সদস্য কবি অমল আকাশ প্রমুখ।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...