• বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :
ভাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা ও ভুয়া ডেন্টাল কেয়ার বন্ধ তীব্র তাপদাহে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ট্রাফিক পুলিশের প্রশান্তি বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবি সংগ্রাম পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান না.গঞ্জ সদরে বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত ৫০ ঊর্ধ্বে কফি হাউজ শেষবেলা ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কাশীপুরে আ’লীগের সন্ত্রাসীদের মসজিদের হামলা- ভাংচুর না’গঞ্জ সদর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত না.গঞ্জে নানা আয়োজনে পালিত হবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত নবাগত সদর ইউএনও তাছলিমা শিরিন নিন্দুকদের সমালোচনা অতিক্রম করে সততার পথে এগিয়ে যেতে চান নারী উদ্যোক্তা ইমা

আদালতে মাদরাসা শিক্ষকের রোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ৫০৩ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১
বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মাদরাসা শিক্ষার্থী ফাহিম।

বিডি নিউজ আই : নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে ১৩ বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মাদরাসা শিক্ষার্থী ফাহিম নিজেকে আয়রনের ছ্যাকা ও মাটিতে আছড়ে দিয়ে মাথা থেতলে দেওয়ার নির্যাতনের কথা জানিয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (৪ জুলাই) বিকালে নারায়নগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত তার জবানবন্দি রের্কড করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়নগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো.আসাদুজ্জামান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী দক্ষিণপাড়া এলাকার সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে নির্যাতনকারী মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় সকালে ওই শিক্ষার্থীর নানা শহিদুল্লাহ বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত নির্যাতনকারীরা হলেন, নরসিংদী জেলার মধাবদী থানার ময়শাদি এলাকার আবু বক্করের ছেলে শাহ-পরান ও শাহজালাল। তারা সম্পর্কে আপন দুই ভাই।শাহজালাল মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শাহপরান মাদরাসার শিক্ষক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার সকালে মাদরাসা শিক্ষক শাহ-পরান মাদরাসা শিক্ষার্থী বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ফাহিমকে কাপড় ইস্ত্রি করার আয়রন দিয়ে পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা পুড়ে ফেলেন। এসময় ওই শিক্ষক শাহপরান পা উপরের দিকে দিয়ে মাটিতে (ফ্লোরে) ফাহিমকে আছড়ে দিয়ে মাথা থেতলে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেত্রাঘাত করে গুরুতর জখম করে।পরে নির্যাতনের বিষয়টি মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ শাহ জালালকে জানালে শাহপরান তার ভাই হওয়ায় তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চান। এ উদ্দেশ্যে চিকিৎসার জন্য প্রতিবন্ধি ফাহিমকে মাদরাসা থেকে বের হতে না দিয়ে তিনি নিজেই ঔষধ এনে দেন। নির্যাতনের বিষয়টি বাইরে না জানানোর জন্য শাহ-পরান ও শাহজালাল দুই ভাই মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখান। গত বুধবার ভোরে ফাহিম মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে ভর্তি করান।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..