তানভীর মুহাম্মাদ ত্বকী হত্যার ৯৯ মাস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে আলোকপ্রজ্বালন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুন) সন্ধায় নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোকপ্রজ্বালন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক, নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ সাস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজল, এড. প্রদীপ ঘোষ বাবু, সাবেক সাধারন সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, অমল আকাশ, সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলা কমিটির সমন্বয়ক নিখিল দাস, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, সামাজিক সংগঠন সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, আট বছরের পেরিয়ে গেলেও ত্বকী হত্যার বিচার এখনো শুরু হয় নাই। এ দায় যতটানা বিচার ব্যবস্থার তারচেয়ে বেশি সরকারের। কারণ তদন্তে যখন ত্বকীর ঘাতক সরকার দলীয় চিহ্নিত হলো, তখনি সরকার এ বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছে। দলীয় সন্ত্রাসীদের রক্ষার জন্য সরকার ত্বকী হত্যায় অঘোষিত ইনডেমনিটি জারি করে রেখেছে। দেশে সুশাসন, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচনী ব্যবস্থা, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র সবকিছুই আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সবকিছু দলীয়করণ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনকে ধ্বংস করেছে সরকার। বিচার-প্রক্রিয়া ও আইনের স্বভাবিক গতিকে ধ্বংস করেছে। সরকার ত্বকীর ঘাতকদের বিভিন্ন সময় পুরস্কৃত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কারা ত্বকীকে হত্যা করেছে তা তিনি জানেন, অথচ তিনি বিচার করছেন না। একজন গডফাদার তার ভাতিজাকে নিয়ে ১১জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। গডফাদারকে রক্ষার জন্যই ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ কওে রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এ হত্যার বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...