• মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন
  • |
  • Bangla Converter
  • |
শিরোনাম :

কঠোর লকডাউনে খোলা থাকতে পারে পোশাক কারখানা

বিডিনিউজ আই ডেস্ক : / ২১৩ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার (২৮ জুন) শুরু হতে যাওয়া ‘কঠোর লকডাউনে’ কারখানা চালু রাখতে চান তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকরা। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত স্পষ্ট না করা হলেও শীর্ষ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। এদিকে, গার্মেন্টস খোলা থাকলে শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াত ব্যবস্থা কেমন হবে? এ নিয়ে তেমন কিছুই জানা যায়নি।
ভারী শিল্প ও পোশাকশিল্প-অধ্যুষিত এলাকা নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, ‘সরকার থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে, সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে’।
তাঁত ও পাটশিল্পের অস্তিত্ব বিলোপ হওয়ার পর হোসিয়ারি শিল্প গড়ে উঠে ছিল নারায়ণগঞ্জে। সেদিনের ছোট ছোট হোসিয়ারী কারখানা গুলোই ধীরে ধীরে গার্মেন্টসে রূপ নিয়েছে। প্রাচ্যের ডান্ডি থেকে হয়ে উঠেছে শিল্প নগরী।
দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি নীট সেক্টরের সিংহভাগ এই নারায়ণগঞ্জ জেলাতেই। ফলে এ সেক্টরে কর্মরত দেশের অন্য ৬৩ জেলার লাখ লাখ মানুষও বসবাস করেন নারায়ণগঞ্জে।
করোনার সংক্রমন রোধে আগামী সোমবার(২৮জুন) থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার। এক সপ্তাহের কঠোর এ লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি।
এদিকে, সামনে ঈদ, শ্রমিকদের বেতন-বোসাসের পাশপাশি তৈরী পোষাকের শিপমেন্ট রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস বন্ধ দিলে একদিকে যেমন অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হবে, সেই সাথে বিদেশী অর্ডার বাতিলের শংঙ্কা থাকে। তাছাড়া, পূর্ব অভিজ্ঞতায় শিল্প মালিকরা বলছেন, এ মূহুর্তে কারখানা বন্ধ দিলে শ্রমিকরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে, যার যার গ্রামে যাওয়ার হিড়িক পড়বে। আর তাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার শংঙ্কা আরও বাড়বে।
এ ব্যাপারে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘দুই-তিনটি কারণে বর্তমানে পোশাক কারখানা খোলা রাখা প্রয়োজন। প্রথমত, সামনের মাসেই পবিত্র ঈদুল আজহা। বায়ারের অর্ডার অনুযায়ী পণ্য শিপমেন্টের চাপ রয়েছে। সময়মতো দিতে না পারলে ঈদের আগে ক্রেতারা অর্থ পরিশোধ করবেন না। তখন, শ্রমিকদের বেতন–ভাতা দেওয়া কঠিন হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে পোশাকের ক্রয়াদেশ আসার মৌসুম। লকডাউনে কারখানা বন্ধ থাকলে ক্রেতাদের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তারা অন্য দেশে ক্রয়াদেশ সরিয়ে নিয়ে যাবে। তৃতীয়ত, কারখানায় থাকলেও শ্রমিকেরা অনেক বেশি শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবেন। তখন স্বাস্থ্যবিধি মানাও আমাদের জন্য সহজ হবে।’
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবের সাথে আমি আলোচনা করেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, গার্মেন্টস খোলা থাকবে। তবে, স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। এরপরও করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করার জন্য সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত নিবে, আমরা সরকারকে সহযোগীতার হাত বাড়াবো এবং সহযোগী হিসেবে কাজ করবো। অনেক মালিক, শ্রমিক ও কর্মকর্তার নারায়ণগঞ্জের বাহির থেকে আসে। গার্মেন্টস খোলা থাকলে তাদেরকে সিমিত পরিষরে যাতায়াতের সুযোগ দেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করছি।
গার্মেন্টস চালু থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রমিকের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আমরা কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন এখনো হাতে পাইনি। আজ পাবো এবং সেই বিধি নিষেধ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। আজ রাতে আমরা প্রজ্ঞাপন হাতে পাবো। আগামীকাল অফিসিয়াল ভাবে বিধিনিষেধ জানিয়ে দেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..