সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিদ্যুতের লোকচুরি খেলায় জনজীবন অতিষ্ট বন্দরে রোগাক্রান্ত গবাদি পশু অবাধে জবাই নাঃগঞ্জ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি” শান্তিপদক প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে নতুন সচিব আবু সাঈদ’র যোগদান নারায়ণগঞ্জে ইপিআই অনলাইন মাইক্রোপ্লান প্রশিক্ষণশালার উদ্বোধন ফতুল্লায় হাজি জসিম কন্ট্রাক্টরের উদ্যোগে ৪শ’ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত না.গঞ্জ সদরে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ শীর্ষক মতবিনিময় কর্মশালা

কমরেড ইসমাইল হোসেনের স্মরণানুষ্ঠান

কমরেড ইসমাইল হোসেনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ॥ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সদস্য কমরেড ইসমাইল হোসেনের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকাল চারটায় সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা কার্যালয়ে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড দুলাল সাহা, বিমল কান্তি দাস, আঃ হাই শরীফ, শাহানারা বেগম, সুজয় রায় চৌধুরী বিকু, ইকবাল হোসেন, কৃষ্ণা ঘোষ, শোভা সাহা, দিব্যেন্দু মিত্র, মাইনউদ্দিন মানিক, মনিরুজ্জামান চন্দন, মোঃ নাসির উদ্দিন ও বিজয় কর্মকার।
আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কমরেড ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলব থানায়। তিনি নারায়ণগঞ্জ হোসিয়ারী শ্রমিকদের আন্দোলন ও সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি এক সময় হোসিয়ারীতে চাকরি করতেন, পরবর্তীতে একজন ছোট মালিক হয়েছিলেন। মালিক হবার পরও তিনি পিছন থেকে হোসিয়ারী শ্রমিকদের আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তোলার কাজ করতেন।
কমরেড ইসমাইল হোসেন ছিলেন একেবারে প্রচারবিমুখ শান্ত স্বভাবের এক মানুষ। তাঁর কোন অহংকার ছিল না, চাকচিক্ক ছিল না। স্ত্রী শাহানারা বেগমকে পার্টিতে এনেছিলেন, তাকে নারী আন্দোলনের সাথে যুক্ত করে দিয়েছিলেন। তিনি (শাহানারা বেগম) এখনো আমাদের পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আছেন। মেয়ে ফৌজিয়া খানম জলি ছাত্র ইউনিয়নে যুক্ত ছিল। সে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতিও ছিল এক সময়ে। এখন একটা স্কুলের শিক্ষক। ছোট ভাই হান্নানকে দলের সাথে যুক্ত করেছিলেন।
কমরেড ইসমাইল পরিণত বয়সের আগেই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কয়েক বছর বিভিন্ন চিকিৎসা করার পরও আর সুস্থ হলেন না। ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে অপরিণত বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর এ মৃত্যু খুবই দুঃখজনক!
একজন কমিউনিস্টের যত গুণাগুণ থাকা দরকার তার সবকিছুই ছিল কমরেড ইসমাইল হোসেনের মধ্যে। আচরণের দিক থেকে তিনি ছিলেন খুব উঁচু মাপের। উন্নত মানবতাবোধ, উন্নত নৈতিকতা ও আন্তরিকতায় ছিলেন অতুলনীয়। এই কমরেড এর কর্ম ও জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা নেবার আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


© All rights reserved © 2020 bdnewseye.com
Developed BY M HOST BD