নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গৃহবধু জোসনা বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে তার স্বামী ও কথিত পরকীয়া প্রেমিকার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) রাতে ফতুল্লা থানায় মামলাটি দায়ের করেন জোসনা বেগমের বড় ভাই আব্দুল মতিন।
মামলার প্রধান আসামি স্বামী ইলিয়াসকে গ্রেফতার (৫০) ও তার কথিত পরকীয়া প্রেমিকা রানি বেগমকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্বামীর বাড়ী থেকে জোসনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধ্বার করে পুলিশ। জোসনা ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলীর মৃত হাজী হাফিজ উদ্দিন হাবিবের মেয়ে।
মামলায় আব্দুল মতিন অভিযোগ করেন, ২৪/২৫ বছর পূর্বে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার দর্জি বাড়ীর তাইজুদ্দিন দর্জির ছেলে ইলিয়াস দর্জির সাথে তার বোনের বিয়ে হয়ে। তাদের সংসারে বন্যা (২৩)ও হাফসা (৭) নামের দুই মেয়ে রয়েছে। ২/৩ বছর পূর্বে মামলার দ্বিতীয় আসামি রানি বেগম তার বোনের বাসায় ভাড়ায় আসে। এক পর্যায়ে বোন জামাই ইলিয়াস ও ভাড়াটিয়া রানি পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানাজানি হলে রানিকে ঐ বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। রানি একই এলাকায় পার্শ্ববর্তী আমিরের ভাড়া বাসায় চলে গেলেও তার বোন জামাই ইলিয়াসের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কটা থেকেই যায়। এ নিয়ে প্রায় সময় তার বোনের সাথে ঝগড়া হতো স্বামী ইলিয়াসের। প্রায়সময় তার বোন জোসনাকে শারিরীক নির্যাতন করতো তার স্বামী। এ নিয়ে পারিবারিক ও স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিস বৈঠক ও হয়েছিলো। শুক্রবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে দশটার দিকে রাতের খাওয়া শেষ করে বাসার সকলে ঘুমাইতে গেলে বোন জামাই ইলিয়াস বাসার বাইরে যেতে চাইলে বোন বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাদীর বোন জোসনা ঘুমিয়ে পরলে রাত ১২ টা থেকে ২ টার মধ্যের কোন এক সময়ে বোন জামাই ইলিয়াস ও তার প্রেমিকা রানি পরস্পর যোগসাজসে জোসনাকে শ্বাসরোধ করে বা অন্য কোন উপায়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, জোসনা বেগমের ভাইয়ের লিখিত অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান আসামি ইলিয়াসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকেও গ্রেফতারের চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...